#কলকাতা: শীতলকুচিকাণ্ডে ফের কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে তৃতীয়বার তলব করল সিআইডি। শুক্রবার ভবানী ভবনে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। বেলা ১২টা নাগাদ ভবানী ভবনে আসেন তিনি। এদিন প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। শীতলকুচি কাণ্ডে প্রাক্তন এসপি দেবাশিস ধরকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে বলেই সিআইডি সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, দেবাশিস ধর নিজের ফোনের কল লিস্ট থেকে ডিলিট করেছেন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নম্বর। কার নম্বর ডিলিট করেছিলেন প্রাক্তন এসপি ? ১০ এপ্রিল শীতলকুচির ঘটনার দিন ওই নম্বরগুলিতে ফোন হয়েছে। অথচ ঘটনার পর নম্বর গুলি কল লিস্ট থেকে উধাও কেন? হোয়াটস্যাপ কল থেকেও ডিলিট কেন কল লিস্ট? বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি। বয়ানে বেশ কিছু জায়গাতে ধোঁয়াশা রয়েছে বলেই সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
এর আগে দেবাশিস ধরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল ভবানী ভবনে। কিন্তু বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ও অসম্পূর্ণতা থাকায় আজ ফের তলব করা হয় ভবানী ভবনে। সিআইডি সূত্রে খবর, ঘটনার পর তদন্ত সম্পূর্ণ না করেই কী করে তিনি বলে দিলেন যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে? এর পিছনে কি অন্য কারও নির্দেশ ছিল? বার বার বয়ানে অসঙ্গতি কেন? কোথায় কোথায় মিসিং লিঙ্ক? শীতলকুচিকাণ্ডে কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে টানা সাড়ে তিন ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ চলে সিআইডির। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে | জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভিডিও রেকর্ডিংও করা হয়। তৎকালীন এসপি দেবাশিস ধর বর্তমানে সাসপেন্ডেড।
সিআইডি সূত্রে খবর, গত ১০ এপ্রিল শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে গুলিকাণ্ডে ঘটনার দিন তৎকালীন পুলিশ সুপারের ঠিক কী ভূমিকা ছিল? সিটের আধিকারিকরা শীতলকুচির ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন আগেই।সিআইডি তদন্তে উঠে আসে, গুলি বুথের বাইরেই শুধু চলেছে এমন নয়, বুথের দিকে তাক করেও গুলি চলে | যার ফলে বুথের ভিতরে ব্ল্যাকবোর্ডে গিয়ে লাগে গুলি | ফরেন্সিকের ব্যালেস্টিক টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, তাঁরা সিআইডিকে প্রাথমিক ভাবে জানান ব্ল্যাকবোর্ডে যে গুলি লেগেছিলো তা রাইফেলের গুলি |
সিআইডি সূত্রে খবর , এই ঘটনায় ৬ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী সদস্যকে তিন বার তলব করা হয়েছিল | এর আগে এই ঘটনায় সিআইডি প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানও রেকর্ড করেছিল | সিআইডি সূত্রে খবর, এর আগে মাথাভাঙ্গার এসডিওপিও সুরজিৎ মণ্ডল, মাথাভাঙ্গা থানার এসআই গোবিন্দ দাস, মাথাভাঙ্গা আইসি বিসাশ্রয় সরকার , মাথাভাঙ্গার তদন্তকারী অফিসার, সেক্টর অফিসার এএসআই রফা বর্মন, কিউআরটি অফিসার এএসআই সুব্রত মন্ডল, ডিএমডিসি মাথাভাঙ্গা টি ভুটিয়া যিনি রিটার্নিং অফিসার এবং বিডিও মাথাভাঙ্গা সম্বল ঝা যিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকায় ছিলেন ঘটনার দিন, এদেরকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল ভবানী ভবনে | এছাড়াও চলতি সপ্তাহে ডিআইজি জলপাইগুড়ি রেঞ্জ ই আনাপ্পাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জলপাইগুড়ির অফিসে |