#কলকাতা: ট্রোল করতে চেয়েছিলেন। এবার নিজেই ট্রোলড হয়ে গেলেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। নেপথ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। এবার মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৭৯ জন । অর্থাৎ তারা প্রত্যেকেই ৬৯৭ নম্বর পেয়েছে। এই বিষয়টিকেই ব্যঙ্গ করে ফেসবুকে ছোট করে টিপ্পনি কেটেছিলেন সিপিএম নেতা শতরূপ লিখেছিলেন। লিখেছিলেন, একসাথে ৭৯ জন ছায়া প্রকাশনীর মডেল। পোস্ট হতে না হতে না হতেই রীতিমতো আক্রমণ করা শুরু হয় শতরূপকে। সব মিলে শতরূপের পোস্টটি রীতিমতো হাস্যস্পদ হয়ে ওঠে। অনেকে শতরূপকে পোস্টটি তুলে নিতেও অনুরোধ করেন।
এক ব্যক্তি ফেসবুকের এই পোস্টের তলায় লেখেন, এ বছর যা ফেলের হার তোমাদের এমএলএ সংখ্যার সমান। বলাই বাহুল্য এবার মাধ্যমিকে যেহেতু পরীক্ষায় হয়নি, তাই কাউকে ফেলো করানো হয়নি। অর্থাৎ ফেলের সংখ্যা শূন্য। বামেদের বিধানসভায় শূন্য হয়ে যাওয়ার সঙ্গে এই শূন্যকে মিলিয়ে দিয়েছেন নেট পাড়া।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, আসলে মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন করতে চেয়েছিলেন শতরূপ। এর আগেও পরীক্ষা বাতিল নিয়ে নানা সময় বাম নেতারা মুখ খুলেছেন । কিন্তু এবারের মতো ট্রোলড হতে হয়নি তাদের কাউকে। উল্লেখ্য শতরূপ নিজেও বিধানসভা ভোটের প্রার্থী ছিলেন। কসবা কেন্দ্র থেকে লড়ছিলেন তিনি। এবার তাঁর হারের হ্যাট্রিক হয়েছে। সেই প্রসঙ্গও এসেছে এই পোস্টে। সব মিলিয়ে বিপাকেই পড়েছেন শতরূপ।
এই প্রসঙ্গে একবার জানিয়ে দেওয়া যাক মাধ্যমিকের মূল্যায়ন এবার কী ভাবে হয়েছে?
নবম ও দশমের নম্বরের ভিত্তিতে মাধ্যমিকে নম্বর দেওয়া হবে।ধরা যাক কোনও পরীক্ষার্থী নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় বাংলায় ১০০-এ ৯০ পেয়েছে।মূল্যায়নের সময়ে এই ৯০-এর অর্ধেক অর্থাৎ ৪৫ নেওয়া হবে।এর সঙ্গে যোগ হবে দশমের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে পাওয়া নম্বর। তবে, সেক্ষেত্রেও বিশেষ ফর্মুলা রয়েছে।ধরা যাক, দশমের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে ওই পরীক্ষার্থী বাংলায় দশে দশ পেয়েছে।সেক্ষেত্রে প্রাপ্ত নম্বরকে ৫ দিয়ে গুণ করা হবে। অর্থাৎ ৫০।মূল্যায়ন অনুযায়ী, নবম এবং দশম শ্রেণি মিলিয়ে এই পরীক্ষার্থীর বাংলায় প্রাপ্ত নম্বর ৯৫।