#কলকাতা: ২১ জুলাই (21 July TMC Shahid Diwas) মানেই ধর্মতলা জুড়ে থাকত ব্যস্ততা। সমাবেশের আগের এক সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়ে যেত তোড়জোড়। তৃণমূলের মঞ্চ ঘিরে থাকত সকলের আগ্রহ। করোনা আবহে বদলে গেছে সেই অবস্থাও। ফলে মন খারাপ ধর্মতলার ব্যবসায়ীদের। কারণ লাখো লাখো মানুষের ভিড়ে যে পরিমাণ টাকার কেনাবেচা হতো তাতে খুশি হতেন এই চত্বরের ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে যাঁরা ফুটপাথে বসে খাবার বা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বা পোশাক বিক্রি করতেন তাঁদের কিছু রোজগার হতো। ফলে মন খারাপ সকলের।
স্টেটসম্যান হাউজের সামনে এদিন অবশ্য উৎসাহী তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ভিড় ছিল। অনেকেই এসেছেন আবার শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানাতে। যদিও কলকাতা শহরের একাধিক জায়গায় এদিন সকাল থেকেই লাইভে শোনানো হয়েছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বক্তব্য। উত্তর কলকাতার যুব তৃণমূল সভাপতি অনিন্দ্য রাউত জানিয়েছেন, “প্রায় ৬০টি ওয়ার্ডে আমরা জায়েন্ট স্ক্রিন লাগিয়েছিলাম। কোভিড বিধি মেনেই ছিল কর্মীদের বসার ব্যবস্থা।”
দক্ষিণ কলকাতার ৮৪ ওয়ার্ডে ছিল জায়েন্ট স্ক্রিন। দক্ষিণ কলকাতার যুব তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, বহু মানুষের কাছে পৌছানো গিয়েছে ভার্চুয়াল সমাবেশ করেও। ডেকার্স লেনের দোকানদাররা বলছেন, “এই একটা দিনের জন্যে আমরাও হিমশিম খেতাম। এত লোক আসত যে আমাদের ব্যস্ততা চলত আগের দু’দিন ধরে। কিন্তু করোনা আবহে সব কিছু গিয়েছে বদলে।” একই বক্তব্য ধরা পড়ছে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের গলাতেও।
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল বাজার। কেনাবেচা বন্ধ ছিল ব্যবসায়ীদের। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের। অনেকেই আশা করেছিলেন আজ ২১ জুলাই সমাবেশে যে লাখো মানুষের ভিড় হবে তার জেরে তাঁদের ব্যবসায় লাভ হবে। ব্যবসায়ী উমেশ খান বলছেন, “ভেবেছিলাম একই সঙ্গে বক্তব্য শুনব। আবার জিনিসপত্র বিক্রি করতেও পারব।” কিন্তু করোনার আবহে সেই সব স্মৃতি। তাই মন খারাপ ধর্মতলার।
মাঝে ২০১১ সাল বাদ দিলে লাগাতার ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে পালিত হয়ে আসছে ২১ জুলাই সমাবেশ। বিশাল মঞ্চ বাঁধা হত। একাধিক জেলার প্রতিনিধিরা আসতেন। এমনকি এই মঞ্চে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এসে যোগদান করেছেন। ফলে এই মঞ্চ নিয়ে অনেকেরই নানা আগ্রহ দানা বেঁধেছিল।
Abir Ghoshal