#নয়াদিল্লি: ফোনে আড়িপাতার অভিযোগে সারাদেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জাতীয় রাজনীতি উত্তাল। সরগরম সংসদ। বিরোধীরা সরকারপক্ষের বিবৃতির দাবিতে অনড়। তৃণমূল কংগ্রেস এই ইস্যুতে সংসদে ঝড় তুলতে চলেছে কোমর বাঁধছে অন্যান্য বিরোধীরাও।
রবিবার একটি ট্যুইট করে সারাদেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি লিখেছিলেন, বিদেশি ঈশ্রায়েলি সংস্থা কে কাজে লাগিয়ে এদেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিজেপি এবং আরএসএস নেতা, রাজনীতিক সহ বিখ্যাত ব্যক্তিদের ফোনে আড়িপাতা হয়েছে। সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সেই ট্যুইটের পর আলোড়ন পড়ে যায় দেশ তথা বিশ্ব জুড়ে। এরপর তদন্ত ভিত্তিক রিপোর্ট প্রকাশ করে ‘দ্য অয়্যার’। তারা জানায়, দুজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তিনজন বিরোধী নেতা বহু রাজনীতিক ৪০ জন সাংবাদিক-সহ দেশের মোট ৩০০ জনের ফোন হ্যাক করেছিল ওই ইসরাইলি সংস্থা। এই ঘটনার পর পুনরায় শোরগোল শুরু হয় সংসদে সরকারের জবাবদিহি চাওয়া হয়। বিরোধীদের চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণৌ রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে জানান, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য ঠিক নয়। ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। এমনকি তিনি দাবি করেন যে ভারতীয় গণতন্ত্রকে বদনাম করতে চক্রান্ত করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ‘দ্য অয়্যার’ আরও একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ সকলের। সংস্থাটি জানিয়েছে যে ৩০০ জনের ফোনে আড়িপাতা হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম স্বয়ং কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণৌ। এরপরের নামগুলি আরও চাঞ্চল্যকর। যাদের ফোন হ্যাক করে আড়িপাতা হয়েছিল সেই তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর, বিজ্ঞানী গগনদীপ কং, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা। উল্লেখ্য, এই অশোক লাভ আশায় তিনি যিনি ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগের ঘটনায় ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুব স্বাভাবিকভাবেই সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। রাহুল গান্ধি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, অশোক লাভাসা, গগনদীপ কংদের ফোনে আড়ি পেতে লাভ পেতে পারে কারা? এই প্রশ্ন উঠেছে। স্বভাবতই অভিযোগের আঙুল সরকারপক্ষ এবং শাসক দল বিজেপির দিকে। সরকার এই অভিযোগ খন্ডন করার শত চেষ্টা করলেও খোদ মন্ত্রীর ফোনে আড়িপাতার ঘটনা সামনে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।